চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় খাদিজা খাতুন (২৫) নামে এক নারীকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখে থানায় ফোন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আলমের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এদিকে সকালে খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নিহত খাদিজার আত্মীয় স্বজনরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। পরে থানার ওসিসহ অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে খাদিজাকে হত্যার অভিযোগ করলেও পুলিশ বলছে আত্মহত্যা।
নিহত খাদিজা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি গ্রামের ভিক্ষু মন্ডলের মেয়ে।
জানা যায়, বছর খানেক আগে প্রেম করে বিবাহ করে একই উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের মোনাকষা গ্রামের আজিজ আলীর ছেলে কুয়েত প্রবাসী আলমের সাথে। তিনি ছিলেন আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী। আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেছিলেন। বিবাহের প্রথম পর্যায়ে মধুর দিন অতিক্রম করলেও আস্তে আস্তে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।ছোটখাটো বিষয়ে খাদিজাকে মারধর করতো স্বামী আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা।
খাদিজা খাতুনের মা আশুরা বেগম বলেন, আমার মেয়ে বর্তমানে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। গত এক বছর আগে আলমের সঙ্গে বিবাহ হয় খাদিজার। বিয়ের পর থেকে ছোটখাটো বিষয়ে মেয়েকে মারধর করতো স্বামী আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা। আজ রাতে যে কোন সময় তাকে হয়তো হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে । আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ গনি বলেন, সকালে আলম নিজেই আমাদেরকে জানান তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে খাদিজার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিক ধারণা তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা।